আজকে এই পোস্টে পৃথিবীর ৫ সবচেয়ে চালাক চোরের কথা বলবো। যেটা হয়তো আপনি জানেন না। তো চলুন শুরু করি --
পৃথিবীর ৫ সবচেয়ে চালাক চোর - 5 Most Brilliant Robbers In Bangla
আন্দ্রে স্ট্যান্ডার
আন্দ্রে কে বয়সের ৩১ বছর আফ্রিকার অপরাধী বিভাগের প্রমুখ রূপে নিযুক্ত করা হলো। পুলিশ হয়ে সে শিখলো এবং জানতে পারলো যে অপরাধী কিভাবে অপরাধ বা চুরি করে। ১৯৭৭ সালে আন্দ্রে চোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। সে ছদ্মবেশ সাজতে মাহির ছিল। প্রত্তেক বার সে লাঞ্চ ব্রেকের সময় ব্যাঙ্ক লুটতো এবং পরে সে সেই ব্যাংকেরই অনুসন্ধান করার জন্য সেখানে পৌঁছে যেত। ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সে প্রায় ৩০টি ব্যাঙ্ক লুট করে। কিন্তু তার এক ভুলের জন্য তার এক সঙ্গী তাকে চিনতে পেরে যায়। তার জন্য তাকে জেল যেতে হয়। কিন্তু এটাই তার শেষ না।জেলে আন্দ্রে আরো ২জন ব্যাঙ্ক রবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। আর সে জেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করলো। এবং সে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তারপর সে যেভাবে ব্যাঙ্ক লুটতে শুরু করলো তা কি বলবো। দিনে সে চার চারটি ব্যাঙ্ক লুটতে শুরু করলো। সে অনেক বড়ো বড়ো চুরি করেছিল। কিন্তু এক জায়গায় আন্দ্রেকে দেখতে পাওয়ার খবর পুলিশ পেলো এবং সেখানে গুলি চলা চলি শুরু হলো এবং আন্দ্রে সেখানে গুলি খেয়ে মারা যাই।
লিওনার্ডো নোটরাবারতলা
লিওনার্ডোকে antwearp হীরের চুরির মাস্টার মাইন্ড বলা হয়। কিছু লোক মিলে এই চুরি করেছিল। এই চুরি এতো বোরো ছিল কি এই চুরিকে হায়েস্ট অফ দা সেঞ্চুরি বা শত বছরের সবচেয়ে বড়ো চুরির নামে জানা যাই। যেটা একশো মিলিয়ন ডলারের হীরের চুরি ছিল ( 6512000000.00 টাকা ) । লিওনার্ডো একমাত্র চোর ছিল যাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। এই চুরির সবচেয়ে কৌতূহলজনক কথা হচ্ছে যে লিওনার্ডো নিজেই নিজেকে জেনে শুনে গ্রেফতার করিয়ে ছিল। এইরকম বলা হয় যে, যদি এই কথাটি সত্য হয় তবে সে এমন এক ধোনি ব্যাক্তি যাকে আর কখনো চুরির মামলায় গ্রেফতার করা যাবেনা যার জন্য সে প্রথমেই সাজা কেটে নিয়েছে।
দা ভ্যাকুয়ম গ্যাং
ফ্রান্সের ভ্যাকুয়ম গ্যাং-এর চুরি করার নিয়ম একেবারে আলাদা ছিল। এই গ্যাং শুধু সুপার মার্কেটকেই লুটছিলো। তাও আবার মনোপ্রিক্স নামক সুপার মার্কেটকে। এই গ্যাং মনোপ্রিক্স মার্কেটের যে তিজোরি হয় তার এক দুর্বলতাকে খুঁজে বের করেছিল। তারা বুঝতে পেরেছিলো যে এতে ড্রীল করা অনেক সহজ। তাই এর সুযোগ উঠিয়ে এই চোরেরা এক ভ্যাকুয়ম ক্লিনারের সাহায্যে একটি যন্ত্র তৈরি করে নিলো। যেকোনো মনোপ্রিক্স মার্কেটের তিজোরি কে ড্রীল করে ফুটো করে এবং এই ফুটোর সাহায্যে ভ্যাকুয়ম মেশিন দ্বারা পুরো টাকা বের করে পালিয়ে যাই। ২০০৬ সল্ থেকে এখন পর্যন্ত এই গ্যাং ১২ সুপার মার্কেট লুট করেছে। এই টাকা হয় ৮ লক্ষ ডলার। এতো কিছু হওয়ার পরও মনোপ্রিক্স কোম্পানি নিজের তিজড়ির মডেলকে পরিবর্তন করতে মানা করে দেয়। কিন্তু চোরেদের চালাকি এখন থেকে বুজতে পৰ যাচ্ছে যে এখন পর্যন্ত তাদের গ্রেফতারের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
কানাডায় অবস্থিত তিনজনের এই গ্যাংকে এই নাম তাদের পরিচয়ের জন্য দিয়েছে কারণ এই গ্যাং এখন পর্যন্ত করা ব্যাঙ্ক চুরিতে ২ মিনিটের বেশি সময় কোনো ব্যাঙ্ক চুরিতে লাগাইনি। ৯০ সেকেন্ডের মধ্যেই এই গ্যাং চুরি করে পালিয়ে যেত। তাছাড়া তারা এখন পর্যন্ত একটিও গুলি কারোর ওপর চালাইনি। ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত এই গ্যাং আমেরিকায় কার্যরত ছিল। এরা একশোর বেশি ব্যাঙ্ক লুটেছে যার মধ্যে তারা ৯০ কোটিরও বেশি টাকা লুটেছে। এই গ্যাং তার প্রথম চুরি করার সময় ধরা পড়েছিল কিন্তু ছাড়া পাওয়ার পর আমেরিকা চলে যাই এবং সেখানে নিজের পরিচয় লুকিয়ে বাস করতে থাকে। এই গ্যাং তাদের শেষ চুরি যেটা ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকার একটি শাখা লুটার জন্য করেছিল। এই চুরির সময় তারা এমন কিছু প্রমান ছারে যার ফলে পুলিশ তাদের কাছে পৌঁছে যাই এবং তাদেরকে গ্রেফতার করে ফেলে।
কার্ল পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি লেখা-পড়া চোরেদের মধ্যে একজন ।সে একজন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। কার্লকে আমেরিকার সবচেয়ে সফল চোর বলা হয়। ৩০ বছরে কার্ল ৫০ ব্যাঙ্ক চুরি করেছে। কার্ল কখনো পুলিশের নজরে না আসতো আর না ধরা পড়তো যদি কিছু বাচ্চা কার্লের বাড়ির পাশের ড্রেনে তার দ্বারা লুকানো কিছু নকশা,অস্ত্র আর বাকি জিনিস না পেতো তো। বাচ্চাদের দ্বারা পাওয়া এই সব জিনিসের জন্য তাকে সহজে ধরা গেলো।
দা স্টপওয়াচ গ্যাং
কার্ল গুগাশিয়ান
কার্ল পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি লেখা-পড়া চোরেদের মধ্যে একজন ।সে একজন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। কার্লকে আমেরিকার সবচেয়ে সফল চোর বলা হয়। ৩০ বছরে কার্ল ৫০ ব্যাঙ্ক চুরি করেছে। কার্ল কখনো পুলিশের নজরে না আসতো আর না ধরা পড়তো যদি কিছু বাচ্চা কার্লের বাড়ির পাশের ড্রেনে তার দ্বারা লুকানো কিছু নকশা,অস্ত্র আর বাকি জিনিস না পেতো তো। বাচ্চাদের দ্বারা পাওয়া এই সব জিনিসের জন্য তাকে সহজে ধরা গেলো।
google image
0 comments:
Post a Comment