ভারত কে পৃথিবীতে তন্ত্র-মন্ত্র এবং রহস্যময় দেশ নাম জানে। ভারতের মাটিতে অনেক অমীমাংসিত রহস্য আছে। তার মধ্যে কিছু ঘটনা এমন আছে যে তার সায়েন্সটিফিক রিসার্চও করা হয়েছে কিন্তু কোনো ফল আসেনি। বৈজ্ঞানিক এবং বিশেষজ্ঞরা আজপর্যন্ত মীমাংসা করার চেষ্টা করছেন। যদিও এটি একটি অবিস্মনীয় তবুও বিজ্ঞানের প্রগতির ফলেও অনেক ঘটনা থেকে পর্দা ওঠেনি।
তো আসুন ভারতের কিছু রহস্যের সম্পর্কে জানি যাদের সত্যি আজ পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি।
ভারতের সবচেয়ে বড়ো রহস্যময় ঘটনা - Biggest Unsolved Mysterious Miracles Of India
যমজ লোকের গ্রাম :
কেরালার কোডিনহি গ্রামকে টুইন ভিলেজ নামেও সবাই জানে। এই গ্রামে ২০০০ মানুষ বাস করে। ২০০০ মানুষের মধ্যে ২০০ জোড়া মানুষ যমজ। বিশেষজ্ঞদের জন্য এই গ্রামটি রহস্যে ভরা। কারণ ভারতের মোট যমজ মানুষের চেয়েও এই গ্রামের যমজ মানুষের সংখ্যা বেশি।
google image
বুলেট বাবার রহস্য :
একটি মানুষ তার নিজের বুলেট বাইকে করে যাচ্ছিলো কিন্তু পথে তার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়ে যাই। পুলিশ তার বাইক বুলেটকে থানায় নিয়ে আসে কিন্তু পরের দিন বাইকটি দুর্ঘটনা স্থলে আবার পৌঁছে যাই। পুলিশ অনেক বার বুলেট থেকে পেট্রল বের করে থানায় নিয়ে আসে কিন্তু তবুও বাইকটি দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই। এটি আজ পর্যন্ত রাজস্থান রাজ্যে রহস্যময় হয়ে আছে।
google image
প্রহ্লাদ জানি :
প্রহ্লাদ জানি ৭২ বছর থেকে এক গ্লাস জল পর্যন্তও খাইনি। ৮৮ বছরের এই প্রহ্লাদ জানির কথার পরীক্ষা জন্য ৩৫ বিশেষজ্ঞের দল তাকে ১৫ দিন পর্যন্ত স্টার্লিং হসপিটালে এক সিসি টিভি লেস রুমে বন্দি করে রাখে। কিন্তু তার শরীরে কোনো প্রক্রিয়া হলোনা এবং সে নর্মাল হয়ে রইলো। বিজ্ঞানীদের অনুসারে কোনো ব্যাক্তি ৭ দিনের বেশি জল ছাড়া বেঁচে থাকতে পারেনা কিন্তু ৮৮ বছরের প্রহ্লাদ জানি বিজ্ঞানকে ৭২ বছর থেকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে আসছে তাও সম্পূর্ণ সুস্থ এবং রোগ মুক্ত।
google image
শান্তি দেবী
শান্তি দেবী যখন ৪ বছরের তখন থেকে তাকে তার আগের জন্মের কথা পরিশ্রম করতে লাগলো। দিল্লিতে থাকা শান্তি তার মা-বাবাকে বলতে লাগলো যে তার বাড়ি মাথুরাতে এবং তার স্বামী সেখানে তার রাস্তা দেখছে। কিন্তু যখন তার বাড়ির লোকেরা তার কথাগুলোকে অমান্য করতে লাগলো তখন সে ৬ বছর বয়েসেই মাথুরা যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছিলো। যখন তাকে স্কুলে ভর্তি করা হলো তো সেখানেও সে এই কোথায় বলতো যে সে বিবাহিতা এবং এক সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়েগেলো। স্কুলের অধ্যাপক এবং ছাত্ররা বলতে লাগলো যে সে বার বার তার পূর্বের স্বামী সিকান্দারের নাম নিচ্ছিলো। স্কুলের হেডমাস্টার এই বিষয়ে রুচি দেখালো এবং সে মাথুরার সিকান্দরকেও খুঁজে বের করেছিল যার স্ত্রী লুপ্তি দেবীর সন্তানের জন্ম দেওয়ার ১০ দিন পরেই মৃত্যূ হয়েগেছে। তারপর কেদারনাথ এবং তার ছেলেকে দিল্লি ডাকা হলো এবং শান্তি দেবীর সামনে তাকে আলাদা আলাদা নাম ডাকা হলো কিন্তু শান্তি দেবী তাকে দেখেই চিনতে পেরেনিলো যে এটা লুপ্তি দেবীর পরিবার। এরপর শান্তি দেবী কেদারনাথকে তাকে অনেক ঘটনার সম্পর্কে বললো। তারপর কেদারনাথের বিশ্বাস হয়েগেলো যে শান্তি দেবী তার স্ত্রী। এই ঘটনা বিজ্ঞান জগতে অনেকটা প্রশ্ন খারো করে দিয়েছিলো। মহাত্মা গান্ধী এই ঘটনার জন্য তদন্ত শুরু করার আদেশ দিলো। তারপর তদন্ত কারীদের সঙ্গে শান্তি দেবীকে মাথুরা নিয়ে যাওয়া হলো। সেখানে শান্তি দেবী সবাই চিনতে পারলো। সর্বশেষে তদন্ত কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিলো যে শান্তি দেবীর রূপে লুপ্তি দেবীর দ্বিতীয় জন্ম হয়েছে।
google image
আশা করি বন্ধুরা এই পোস্টটি ভালো লেগেছে যদি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার করা বন্ধুদের সাথে।
0 comments:
Post a Comment