অনেক রহস্যে ভরা আমাদের ব্রহ্মমানের সীমা কতটা এটা আজ পর্যন্ত কোনো মানুষ জানতে পারেনি। তার মধ্যে অনেক প্রশ্ন রয়েছে যেগুলোর উত্তর বিজ্ঞানের কাছেও নাই। আমাদের ব্রহ্মমানে এতটা এনার্জি এবং মেটারিয়ালে পূর্ণ হয়ে আছে যে তাদের গণনা করাটা আমাদের কথা না। তার মধ্যে এক হচ্ছে white hole যার সম্পর্কে আজ আলোচনা করবো।
white hole টা আসলে কি | what is the white hole
আমাদের ব্রহ্মমানের উৎপত্তি Big Bang বিস্ফোটকের ফলে হয়েছে। আমরা সাইন্স এর সাহায্যে জানতে পেরেছি যে বিস্ফোটকের পর পুরো ব্রহ্মমান বাড়তে থাকলো। কিন্তু এমনটা কেন হলো ? এবং হঠাৎ ব্রহ্মমানে এতো energy কথা থেকে এলো এর এতো পদার্থ কথা থেকে এলো, অল্প সময়ে কিভাবে কোটি কোটি তারা এবং galaxies এর নির্মাণ হলো।
ব্ল্যাক হোল (Black Hole)
যখন কোনো তারা নষ্ট হয় তখন তার nuclear fusion শেষ হয়ে যাই। যার ফলে সে শক্তি প্রদান করতে পারেনা। যার ফলে তার পুরো আলো শেষ হয়ে যায় এবং সে collapse হতে শুরু করে। যখন সেটা collapse হতে হতে শেষ লিমিটে এসে পৌঁছোয় তখন তাকে আমরা Gravitational singularity বলে থাকি। যার মানে সেই তারাটা black hole-এ পরিণত হয়েছে। এর মধ্যাকর্ষণ শক্তি এত বেশি যে তার আশেপাশের গ্রহ,উপগ্রহ এমন কি পুরো সলার সিস্টেম কেও গিলে নেওয়ার ক্ষমতা আছে । এছাড়াও সবচেয়ে অবাক করে দেওয়ার কথা হচ্ছে যে black hole পুরো লাইটকেও সে গিলে যাই ।যার ফলে লাইট এক দিক থেকে অন্য দিকে যেতে পারে না এবং লাইটও এর মধ্যে প্রবেশ করে । যেটা আপনি নিচে দেওয়া ছবিটাই দেখতে পাচ্ছেন ।
google image
ব্ল্যাক হোলের ভেতরে এত বেশি energy,material কিভাবে store হচ্ছে এটা কেউ জানেনা । কারন ব্ল্যাক হলের ভেতরে না আজ পর্যন্ত কোন মানুষ গিয়েছে না কোন বিমান । তাই আমরা শুধু মানতে পারি যে পুরো material সেখানে কোন না কোন form-এর সাহায্যে convert হয়ে store হতে থাকে এবং যে জিনিস সেখানে একবার চলে যাই সেটা দ্বিতীয়বার ফিরে আসা অসম্ভব হয়ে পরে।
হোয়াইট হোল (White Hole)
এক থিয়োরির অনুসার প্রত্যেক ব্ল্যাক হোল এর শেষ আছে । আর যখন কোন ব্ল্যাক হোল শেষ হতে লাগে তখন সে সব মাতেরিয়াল বের করতে শুরু করে ।আর একেই বলে হোয়াইট হোল । যেমন আপনি নিচে দেওয়া ছবিটাই দেখছেন ।
বন্ধুরা হোয়াইট হোল সম্পর্কে দ্বিতীয় থিয়োরিও আছে যেটার কোন শক্ত প্রমান নাই । তবে বৈজ্ঞানিকরা বলেন যে এইরকম হতে পারে ।
এই থিয়োরির অনুসার ব্ল্যাক হোল(Black Hole) এবং হোয়াইট হোল(White Hole) পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত আছে ।আর ব্ল্যাক হোল(Black Hole) যে material গিলে নেই সেটা হোয়াইট হোল(White Hole) থেকে বাইরে বেরিয়ে যাই ।ব্ল্যাক হোল এবং হোয়াইট হোল(White Hole) কে যুক্ত করে যেটা দিয়ে সেটা কে Wormhole বলে নাম দেওয়া হয়েছে । যেটা আপনি নিচে দেওয়া ছবিটাই দেখতে পাচ্ছেন ।
google image
তো বন্ধুরা কেমন লাগলো আপনাকে হোয়াইট হোল এর সম্পর্কে জেনে । এখানে হোয়াইট হোলের সঙ্গে সঙ্গে ব্ল্যাক হোল এবংWormhole এর সম্পর্কেও জানতে পারলেন। আশা করি আপনাকে এই পোস্টটি ভালো লেগেছে তাহলে বন্ধুদেরকেও শেয়ার করুন।
0 comments:
Post a Comment